Holy Crescent School

প্রতিষ্ঠিত - 1999 ইং


  • প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে
  • ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেনীর হলি ক্রিসেন্ট স্কুল ১৯৯৯ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুদীর্ঘ দিনে অগ্রগতির পথে চলেছে যোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে। অতীতের স্মরণীয় বহু শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠার রূপকার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব জনাব এ. এইচ. এম এনামুল হকের স্বার্ণালী হাতে এই প্রতিষ্ঠানের হাতে খড়ি।
    ১৯৯৮ ইং এর নভেম্বর মাসে ফেনীর এই বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব এ.এইচ. এম এনামুল হক এর নেতৃত্বে বর্তমান প্রধান শিক্ষক লুনা ফেরদৌস সহ আরো কিছু শিক্ষানুরাগী মিলে হলি ক্রিসেন্ট ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৯ এর জানুয়ারী থেকে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ খ্রি. এর নভেম্বরের দিকে পরিচালনা পর্ষদের অদুরদর্শিতার কারণে হলি ক্রিসেন্টের সেই দুঃসময়ে যারা শক্ত নাবিকের মত হাল ধরে এই পর্যন্ত যোগ্য নিদ্যেশনার মাধ্যমে এগিয়ে এনেছেন, যাদের সুপ্ত প্রতিভা উজাড় করে ঢেলে সাজিয়েছেন এই আঙ্গিনা তারা হলেন সর্বজনাব হানিফ ভূঁঞা মহসিন, লুনা ফেরদৌস, শহীদ উল্লাহ, ওমর ফারুক, লিটন চন্দ্র দত্ত, ছাখাওয়াত উল্লাহ, এজহারুল হক হেলাল, নাজনীন সুলতানা প্রমুখ।

    ব্যতিক্রম ধর্মী এই প্রতিষ্ঠানটি শহীদ শহীদল্লাহ কায়সার সড়ক ফেনী ১৬ নং ওয়ার্ডে ৩৩৯নং ভাড়া বাড়িতে ১৯৯৯ থেকে প্রথম ক্যাম্পাস এবং ২০১২ খ্রি. থেকে ফেনী পৌরসাভার ১৫নং ওয়ার্ড মধুপুরে প্রায় ১৫০ শতক নিজস্ব জায়গায় হলি ক্রিসেন্টের ২য় ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। পর্যায় ক্রমে ২০১৮ খ্রি. এই প্রতিষ্ঠানটি হলি ক্রিসেন্ট স্কুল নামে শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক জুনিয়র স্কুল হিসেবে পাঠদানের স্বীকৃতি লাভ করে এবং ৯ম, ১০ম শ্রেণির পাঠদান স্বীকৃতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে সম্পূর্ণ আবাসিক করে ক্যাডেট সিস্টেমে পরিচালনা করার স্বপ্ন এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের।
    এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আল্লাহর রহমতে দেশের প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে ভাল ফলাফল করে সেনাবাহিনীর (ডাক্তার), প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবি, শিক্ষক এবং বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্বের সাথে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। এছাড়াও সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিক্ষা সফর, গণিত অলিমপিয়ার্ড, বিজ্ঞান প্রতিযোগীতা সহ এমন কোনো শাখা নেই যেখানে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়নি। প্রতি বছর বিশেষ দিন গুলোতে শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে ডিসপ্লে এবং কুচকাওয়াজে ১ম, ২য় স্থান করে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের বন্দিদশা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সদা বদ্ধ পরিকর।

    করোনা কালীন প্রায় এক কোটি টাকা অনাদায়ী থাকলেও থেমে থাকেনি এই প্রতিষ্ঠানের পথচলা। এই কঠিন দুর্যোগে যখন অনেক প্রতিষ্ঠান হাল ছেড়ে দিয়েছে, সে সময়ও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের পূর্ণ বেতন, বাড়িভাড়া সহ সমস্ত লেনদেন সুচারুরূপে সম্পন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
    বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হলি ক্রিসেন্ট ফাউন্ডেশনের বর্তমান সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব হানিফ ভূঁঞা মহসিন তার প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা ওসহমর্মিতার কারণে আজ হলি ক্রিসেন্ট স্কুল ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে উন্নীত হতে পেরেছে। আশা করি তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে আগামীতে হলি ক্রিসেন্ট স্কুল আরো বহু ‍দূর এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

    নেতৃত্বের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কুশলী বিনির্মাণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিকাশ নির্ভর করে। নেতৃত্বের সততা, গতিশীলতা, দক্ষতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের ইমেজ । বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন জ্ঞানের মশালচি জনাব লুনা ফেরদৌস। প্রত্যাশার চেয়েও বেশ কিছু বিষয়ও তাঁকে সামাল দিতে হচ্ছে । শুধু তাই নয় তিনি একজন সংস্কৃতিমনা হিসেবেও ভূমিকা পালন করছেন । তাই নিঃসন্দেহে বলা চলে এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রার ধারাকে অব্যাহত ও শিখরস্পর্শী করতে বর্তমান প্র্রধান শিক্ষকের জুড়ি পাওয়া ভার। শুভার্থী, হিতাকাঙ্খী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগণ তাঁর যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান তথা হলি ক্রিসেন্টের যুগান্তকারী উত্তোরণ প্রত্যাশা করেন। আশা করি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অতীতের প্রমাণিত যোগ্যতায় তিনি সফল হবেন।

    হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের গৌরবময় অবস্থানকে সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ করার জন্য রয়েছে এক ঝাঁক উদিমান শিক্ষক তাদের নিরলস ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে শুধু ফেনীতে নয় সারা বাংলাদেশে যথার্থ শিক্ষার স্মারক হবে এই প্রতিষ্ঠান।

  • Developed by  SKILL BASED IT - SBIT